
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শখের বশে কবুতর পালন করতে গিয়ে স্বাবলম্বী হতে চায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন। । স্বপ্নবাজ এই তরুণের স্বপ্ন ছিল নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু করে স্বাবলম্বী হওয়া। তিনি এখন স্বাবলম্বী হতে চায় একজন সফল কবুতর খামারি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কবুতর পালন করছেন। তা দেখে অনুসরণ করে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার ও আশেপাশের এলাকার অনেক তরুণ ও যুবক। ঠাকুরগাঁও জেলার পৌর শহরের ঠাকুরগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের পিছনের মহল্লায় বাড়ি তার বাবা একজন পত্রিকার এজেন্ট শামছুল আলম বকুল। ছোট ছেলে সিয়াম হোসেন । বর্ডার গার্ড স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনি। করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এরপর এ সময় টিফিনের জমানো টাকা দিয়ে ২/৩ জোরা কবুতর কিনেন সিয়াম হোসেন। সিয়াম হোসেন তার বাড়ি থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে কবুতর রাখার জন্য একটি খাঁচা বানান। এখান থেকেই শুরু কবুতর খামারি হিসেবে তার পথচলা। দুই, তিন জোড়া দিয়ে শুরু করলেও প্রায় ৪০ জোড়া কবুতরের মালিক বনে যান অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশি কবুতরের পাশাপাশি লংফেস, হলুদ আউল, পলিশ, জ্যাকবিন, স্টেচার, মুন্ডিয়ানো, কর্মনা, গিরিবাজ, রেচার সহ বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে তার সংগ্রহে। এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দামের কবুতর হলো ‘কিং জাতের কবুতর। সিয়াম হোসেন জানান, ঢাকা, বগুড়া, নাটোরের আহম্মদপুর ও মৌখাড়া হাট, পাবনার মেরিল রোড ও হাজির হাটে প্রতি সপ্তাহে কবুতরের হাট বসে আমি অনলাইনে দেখেছি। বাচ্চা কবুতরগুলো বড় হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেপারীরা এসে তা কিনে নিয়ে যাবে। তবে মেরিল রোডে কবুতর হাটে দাম একটু বেশি পাওয়া যায়। সিয়াম হোসেন বলেন আমার যদি টাকা থাকত তাহলে অনেক বিদেশি কবুতর কিনতাম অনেক বড় খামার করতাম পরালেখার পাশাপাশি। এখন নিজের লেখা পড়ার খরচ নিজেই চালাই কবুতর বেঁচে।